পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অভিযানে গ্রেপ্তার জেএমবির দুই সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। নীলফামারী সদর থানা এলাকায় ২৮ মার্চ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুই জঙ্গি হলেন মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে আপেল (২৬) ও মো. হাফিজুল ইসলাম (৩০)।

অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) ওয়াহিদা পারভীন ২৯ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নীলফামারী সদর থানার দক্ষিণ সুটিপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে জেএমবির সক্রিয় সদস্য আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর কাছ থেকে একটি বাটন মোবাইল ফোন, দুটি সিম কার্ড, একটি মেমোরি কার্ড ও তিনটি উগ্রবাদী বই জব্দ করা হয়েছে।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৮ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে নীলফামারী সদর থানার উত্তরা ইপিজেড এলাকা থেকে জেএমবির আরেক সক্রিয় সদস্য হাফিজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট, একটি সিম কার্ড, বেশ কিছু উগ্রবাদী বই ও ‘পুলিশ শরিয়তের শত্রু’ শিরোনামের প্রচারপত্র জব্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তার আসামি আনোয়ার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে তাঁর পুরাতন জেএমবির এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই বড় ভাই তাঁকে কিছু বিতর্কিত উগ্রপন্থী বক্তার ওয়াজ শুনতে দেয়। একপর্যায়ে তাঁদের সম্পর্ক গভীর হয় এবং ওই বড় ভাইয়ের নির্দেশে তিনি জেএমবিকে সংগঠিত করার কাজ শুরু করেন। তিনি গ্রেপ্তার হাফিজুর ও অন্যান্য সহযোগীকে নিয়ে জেএমবির মতাদর্শ প্রচার, দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা ও সাংগঠনিক ব্যয় নির্বাহের জন্য বায়তুল মাল গঠন করে প্রতি মাসে ইয়ানত প্রদান ও সংগ্রহ করতেন। নীলফামারীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে তাঁদের দলের অন্যান্য সদস্য জেএমবির মতাদর্শ প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছিলেন। গ্রেপ্তার দুই আসামির বিরুদ্ধে নীলফামারী সদর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।