প্রতীকী ছবি

ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও সাতটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাজশাহীর বাঘা থানা এলাকা থেকে আসামি মো. শিপন আহম্মেদ ওরফে আরিফ, মো. মজিবুল ইসলাম ও মো. রাসেল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিপ্রা রানী দাস জানান, সম্প্রতি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনের ইমো আইডি হ্যাক করে পরিচিতদের কাছে টাকা দাবি করেন হ্যাকাররা। সরল বিশ্বাসে তাঁর বন্ধু ও স্বজনরা হ্যাকারদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে বিভিন্ন সময়ে টাকা পাঠান। প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে থানায় মামলা করেন নাসির উদ্দিন। তদন্তের এক পর্যায়ে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, হ্যাকাররা প্রথমে একটি ভুয়া মোবাইল নম্বর দিয়ে ইমো আইডি খুলতেন। ইমোতে ফাইন্ড ফ্রেন্ড ব্যবহার করে ১১ ডিজিটের ফোন নম্বর সার্চ করলে ১০-১৫টি ইমো অ্যাকাউন্ট চলে আসে। সেখান থেকে মূলত প্রবাসীদের টার্গেট করতেন হ্যাকাররা। এরপর বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত করে বিরক্ত করতেন। পরে কৌশলে ওটিপি কোড নিয়ে ভুক্তভোগীদের ইমো অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নিতেন।

প্রতারক চক্রটি ২০২১ সাল থেকে ইমো আইডি হ্যাক করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

প্রতারণা এড়াতে পরামর্শ:

১. ইমো অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা।

২. যাচাই না করে বিকাশ কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে কাউকে টাকা না দেওয়া।

৩. ইমো বা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো আত্মীয়স্বজনের আইডি থেকে টাকা চাওয়া হলে তা যাচাই করে নেওয়া।

৪. মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত প্রবাসীদের ইমো ব্যবহার ও হ্যাকিংয়ের ব্যাপারে সচেতন হওয়া।

৫. ই-ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে কাকে টাকা দিচ্ছেন, তাঁর সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নেওয়া।

৬. ইমো বা ম্যাসেঞ্জারে অপরিচিত গ্রুপ কলে যুক্ত না হওয়া।

৭. কখনো অপরিচিত/স্বল্প পরিচিত কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত ইমো নম্বর অথবা ওটিপি শেয়ার না করা।