ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে ইমো হ্যাকিং চক্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার। ছবি: ডিএমপি

ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ। খবর ডিএমপির।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. আব্দুল মমিন, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ, মো. সাব্বির, মো. চাঁন মোল্লা এবং আরিফুল ইসলাম।

রোববার (৬ নভেম্বর) ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম।

এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে ১২টি মোবাইল ফোন, ১৯টি সিম ও হ্যাকিং কাজে ব্যবহৃত একাধিক ইমো আইডি জব্দ করা হয়।

আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।

তিনি বলেন, গত ৯ অক্টোবর কাতারপ্রবাসীর ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বাংলাদেশে অবস্থিত তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে তিন দফায় ৬৫ হাজার টাকা নেয় একটি চক্র। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি ডিবি পুলিশের সহায়তা নেন। গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনের নির্দেশনায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোয়েন্দা প্রধান বলেন, তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ইমো অ্যাকাউন্ট টার্গেট করে হ্যাংকিংয়ের ফাঁদ পাতেন। পরবর্তী সময়ে দেশে অবস্থানরত আত্মীয়স্বজনের ইমো নাম্বারে অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কথা বলে মোটা অংকের টাকা চায়। এভাবে ৫০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আর কীভাবে হ্যাকিং করতে হয়, কীভাবে মানুষকে মিষ্টি কথায় ভোলাতে হয়, সে বিষয়ে তাঁরা ট্রেনিং নিয়ে থাকেন। তাঁদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ও অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন এবং নিজের পিন, ওটিপি নাম্বার কাউকে না দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কেউ এমন প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়লে ডিবি পুলিশকে অবহিত করার আহ্বান জানান তিনি।

ভিকটিমের ওয়ারী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে রিমান্ডের আবেদনসহ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তরিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আহসান খানের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।