ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। খবর প্রথম আলোর।

ভোটে এই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিল। ইসির সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেও সংলাপে বলেছিলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএমে বিশ্বাস করছে না। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত খুব একটা আমলে নেয়নি ইসি। এর আগে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল।

আজ বিকেলে ইসির বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ কমিশনের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অনূর্ধ্ব দেড় শটি আসনে ইভিএমে নির্বাচন করা হবে। ন্যূনতম একটি আসনেও হতে পারে।

বেশির ভাগ দলের ইভিএম নিয়ে আপত্তি ছিল। এ বিষয় আলোচনায় এসেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার বলেন, সব বিষয় আমলে নিয়ে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি। কমিশন অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনা করেছে। সবকিছু বিচার–বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার বলেন, এখন ইসির হাতে দেড় লাখ ইভিএম আছে। এগুলো দিয়ে ৭০–৭৫টি আসনে ভোট নেওয়া যাবে। এর চেয়ে বেশি আসনে ভোট করতে হলে ইভিএম কিনতে হবে। এখন থেকে সে উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ইভিএম কেনার জন্য নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট চায়। অন্যদিকে বিএনপি ইভিএমকে ‘কারচুপির যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করে আসছে।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গত জুলাই মাসে ইসি যে সংলাপ করেছিল, তাতে ২২টি দল ইভিএম নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছিল।

সংলাপে জাতীয় পার্টিসহ ১৪টি দল ইভিএম নিয়ে তাদের সংশয় ও সন্দেহের কথা স্পষ্টভাবেই বলেছে। এর মধ্যে নয়টি দল সরাসরি ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে মত দিয়েছে। আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট চেয়েছে। আর কয়েকটি দল শর্ত সাপেক্ষে ইভিএমের পক্ষে বলেছে।

অন্যদিকে বিএনপিসহ নয়টি দল ইসির সংলাপ বর্জন করে, তারাও ইভিএমের বিপক্ষে।