চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও সিএমপি পুলিশ লাইনসে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম-এর অংশগ্রহণের কিছু মুহূর্ত। কোলাজ: পুলিশ নিউজ

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, দুবাইয়ে পলাতক খুনের আসামি আরাভ খানের নামে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করেছে।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ, এপিবিএন, র‍্যাব, আরআরআরসিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা একযোগে কাজ করছে। সেখানে যারা আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রতিটি ঘটনায় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

আইজিপি ফাঁড়ি ভবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। ওই সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে আইজিপি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এরপর আইজিপি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত “জিরো টলারেন্স নীতি” বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সকলের সহযোগিতায় আমরা দেশে জঙ্গিবাদ দমনে সক্ষম হয়েছি।’

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, ‘আমরা ভালো কাজ করেছি। এ জন্য আত্মতুষ্টিতে ভুগলে হবে না; আগামীতে আরও ভালো কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর “জনগণের পুলিশ” হওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের সেবার মান বাড়াতে হবে।’

আইজিপি বলেন, ‘অসহায় মানুষ সেবা পেতে থানায় আসে। থানায় আসা মানুষ যেন তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা পায়, সে জন্য সকল পুলিশ সদস্যকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।’

তিনি পুলিশি সহায়তা পেতে ৯৯৯-এ কল করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

সবশেষে আইজিপি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।