জব্দ করা প্রাইভেট কারসহ গ্রেপ্তার আসামিরা এবং উদ্ধার করা দুটি ইজিবাইক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

যশোরের জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কোতোয়ালি থানা-পুলিশের অভিযানে ২টি ইজিবাইকসহ ইজিবাইক চুরি ও ছিনতাই চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ আসামিদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করেছে।

গ্রেপ্তার চারজন হচ্ছেন মনির হোসেন (৩৫), মো. জনি হোসেন (২৪), রিজাউল গাজী (৪৫) ও মো. শাহ পরান ওরফে পাখি (২৫)।

জানা গেছে, ৭ মার্চ কোতোয়ালি থানার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল-মামুনের একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক মনির হোসেন ভাড়ায় চালাতে নিয়ে তাঁর সহযোগীদের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ আল-মামুন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

এ ছাড়া যশোর শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে একাধিক ইজিবাইক চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের দিক-নির্দেশনায় ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম তদন্তে নামে এবং কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম কোতোয়ালি মডেল থানাধীন মুড়লী মোড় এলাকায় ১০ মার্চ রাত ৮টার সময় অভিযান চালিয়ে একটি চোরাই ইজিবাইকসহ চোর চক্রের ২ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক রাজারহাট রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও ২ সদস্যকে ১টি চোরাই ইজিবাইক ও আসামিদের ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেট কারসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে এসআই মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার ও পলাতক সহযোগীরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তজেলা ইজিবাইক চুরি ও ছিনতাই চক্রের সদস্য। তাঁরা পরস্পর যোগসাজসে তাঁদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারযোগে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে গিয়ে ইজিবাইক ভাড়া করে পথে কৌশলে চুরি ও ছিনতাই করে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যায়।