গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি। ছবি : যশোর জেলা প্রতিনিধি

যশোরের কোতোয়ালি থানার ইজিবাইকচালক আব্দুল্লাহ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি চাকু, লুণ্ঠিত ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. হাসিবুর রহমান ওরফে হাসিব (১৯); তিনি যশোরের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা। মো. আরিফ হোসেন (১৯); তিনি যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আব্দুল্লাহ (১৮); তিনিও একই জেলার কোতোয়ালি থানার শেখহাটি গ্রামের বাসিন্দা।

যশোর পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) আব্দুল্লাহ ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় তাঁর আত্মীয়স্বজন কোনো খোঁজ না পেয়ে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে থানায় যোগাযোগ করে।

পরে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ৯৯৯-এর কলের ভিত্তিতে থানায় জানা যায়, আব্দুল্লাহর মৃতদেহ যশোর জেলার কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ঘুরুলিয়া গোপালপুর বেলের মাঠ রাস্তার দক্ষিণের ধানক্ষেতের পাশে পড়ে আছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাতনামা আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। ইজিবাইক চালিয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তি ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্র ইজিবাইক থামাতে বলেন আসামিরা। এরপর চাকু বের করলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে আসামিদের ধস্তাধস্তি হয়।

একপর্যায়ে ভুক্তভোগী রাস্তার দক্ষিণ পাশের ধানক্ষেতে পড়ে যান। তখন আসামিরা ভুক্তভোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে তাঁর ইজিবাইক নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর যশোর পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল বেলাল হোসাইনের তত্ত্বাবধানে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, আসামিরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

এই ঘটনায় মামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে যশোর জেলা পুলিশ।