ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে।
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে বুধবার (৩১ জানুয়ারি ২০২৪) সকালে আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক দ্রব্য বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান, চুরি, ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধে টিম, নৌ টহল এবং হেলিকপ্টার টহল থাকবে। রেলওয়ে স্টেশনেও বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ইজতেমা ময়দানের প্রবেশ ও প্রস্থান পথ এবং কৌশলগত পয়েন্টে পর্যাপ্তসংখ্যক সিসিটিভি, নাইট ভিশনসহ আইপি ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা থাকবে। ওয়াচ টাওয়ার স্থাপনের মাধ্যমে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশপ্রধান বলেন, ইজতেমা ময়দানের প্রবেশপথগুলোতে আর্চওয়ে স্থাপন এবং হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। সাদাপোশাকে পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইজতেমাস্থলে ভিআইপিগণের চলাচল ও অবস্থানকালে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদেরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আইজিপি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট ও ছবি আপলোড করে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সাইবার মনিটরিং ও পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এমন কোনো গুজবে কান না দিতে মুসল্লিসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ইজতেমাকে ঘিরে এখন পর্যন্ত জঙ্গি হামলা বা নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবু আমরা এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ইজতেমার উভয় পক্ষের আয়োজকদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁরা একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করবেন বলে আমাদের নিশ্চিত করেছেন।
আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, জিএমপি কমিশনার মাহবুব আলম, ডিএমপি, জিএমপি এবং ঢাকা রেঞ্জসহ পুলিশের অন্যান্য বিশেষায়িত ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং তাবলীগের মুরব্বিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, টঙ্গীতে আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
