ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিতে দেশটির পূর্বাঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর প্রায় তিন মাস হতে চলল। এই প্রায় তিন মাসে রক্তক্ষয়ী এই সংঘাতে উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তার প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এ কারণে পুরো বিশ্বই অবিলম্বে এই যুদ্ধের অবসান চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খবর বিবিসর।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান এভ্রিল হাইনেস স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের বলেন, রাশিয়ার এখনো কৃষ্ণসাগর সংলগ্ন অঞ্চল দখলের পরিকল্পনা রয়েছে। এমনটি হলে ক্রিমিয়া থেকে মলডোভার ট্রান্সনিস্ত্রিয়া অঞ্চল পর্যন্ত স্থলপথে যোগযোগ তৈরি হবে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। মলডোভার ট্রান্সনিস্ত্রিয়া অঞ্চলেও মস্কোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

পুতিন রাশিয়ায় সামরিক আইন জারির পথে হাঁটতে পারেন বলেও মনে করেন এভ্রিল হাইনেস। তবে যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে তাঁর ধারণা, রাশিয়ার ‘অস্তিত্ব হুমকির’ মুখে পড়লেই কেবল পারমাণবিক হামলার অনুমতি দেবেন পুতিন।

ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রথম দিকে মস্কোর লক্ষ্য ছিল, ইউক্রেনকে ‘নাৎসি প্রভাব’ থেকে মুক্ত করা ও নিরস্ত্রীকরণ। তবে পরে লক্ষ্যে পরিবর্তন আনা হয়। ক্রেমলিন জানায়, তাদের নতুন লক্ষ্য হবে পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। এরপর থেকেই পূর্ব ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। তবে দোনবাসে রাশিয়া জয় পেলেও হামলা শেষ হবে না বলে মনে করেন এভ্রিল হাইনেস। তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাসে রাশিয়ার অভিযান গতি পেতে পারে।