রংপুরে সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে নিহত হারাগাছ থানার এএসআই পেয়ারুল ইসলামের পরিবারকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) সব সদস্যের ১ দিনের বেতন পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রংপুর পুলিশ লাইনস হলরুমে আরপিএমপির পুলিশ কমিশনার মোহা. আব্দুল আলীম মাহমুদ বিপিএম মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় এ অনুদান দেওয়া হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) মো. মহিদুল ইসলাম পিপিএম সভা সঞ্চালনা করেন।

ওই কল্যাণ সভায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল সদস্যের বিদ্যমান সামগ্রিক সুবিধা-অসুবিধা পর্যালোচনা করে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়।
এ সময় মাননীয় পুলিশ কমিশনার মোহা. আব্দুল আলীম মাহমুদ বিপিএম বলেন, ‘এভাবে মরহুম পেয়ারুলের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমার সকল সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্য নিজের দেশের আইনশৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এবং দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে যেমন সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তেমনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এক দিনের বেতন দিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি, সহকর্মীর যেকোনো বিপদে কিংবা দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াতেও আমরা কুণ্ঠাবোধ করি না।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারসহ সকল উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ সব সিনিয়র অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন মরহুম পেয়ারুলের শিশুসন্তানসহ স্ত্রী ও ছোট ভাই।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এএসআই পিয়ারুল সাহেবগঞ্জ এলাকায় পলাশ নামের এক মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাকে গাঁজাসহ আটক করেন। এ সময় পলাশ তাঁর কাছে থাকা চাকু দিয়ে এএসআই পিয়ারুলকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পেয়ারুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের শিক্ষক মিন্টু মিয়ার ছেলে।