আরএমপির কনস্টেবল রবিউল আউয়াল। ছবি: পুলিশ নিউজ

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কনস্টেবল মো. রবিউল আউয়ালের সাহসিকতায় সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল করতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য আরএমপি থেকে ২০০ জন পুলিশ সদস্য সিরাজগঞ্জ জেলায় যান। সারা দেশের মতো রোববার সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছিল। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রভাষক খায়রুল বাশারে অধীনে দায়িত্ব পালন করছিলেন রাজশাহী মেট্রোলিটন পুলিশের কনস্টেবল মো. রবিউল আউয়াল।
সকাল ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। একটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ককটেল বিস্ফোরণের সময় ভোট দিতে আসা লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়।
এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৩০ থেকে ৩৫ দুর্বৃত্ত রামদা, হাঁসুয়া ও লাঠিসোটা নিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা রবিউল একাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যান।
এদিকে আনসার সদস্যরাও আড়ালে চলে যান। হামলাকারীদের কেন্দ্রে না ঢোকার জন্য রবিউল বারবার সতর্ক করতে থাকেন। উত্তেজনা বাড়তে থাকলেও তিনি পেশাদারত্ব দেখিয়ে তাঁর অবস্থান থেকে সরে যাননি।
ওই সময় হামলাকারীরা রবিউলের প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তারা বাইরে থেকে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে নির্বাচনি কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক আহত হন। এভাবে তিনি প্রবল সাহসিকতা দেখিয়ে হামলাকারীদের কিছু সময় ঠেকিয়ে রাখেন।
এ খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চারজনকে আটক করে। রবিউলের সাহসী ভূমিকায় এলাকাবাসী তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রবিউল আউয়ালের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) তাঁকে আর্থিক পুরস্কার দেন।