মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে আফগানিস্তানের বিষয়ে তার পররাষ্ট্রনীতির সিদ্ধান্ত নেবে, অন্য কোনো দেশের দ্বারা প্রভাবিত হবে না। ইউরোপে ত্রিদেশীয় সফর শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এখনো আফগানিস্তান ইস্যুতে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বৈঠকে যোগ দিতে ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস সফর করেন। এ সময় তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমেনিক রাবের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। আবদুল মোমেন বলেন, ইউরোপ সফরকালে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের নীতি অনুসরণ করবে কি না, কিন্তু তিনি এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এই ব্যাপারে ঢাকার সিদ্ধান্ত স্বাধীন হবে। খবর বাসসের।

সার্কের সদস্যরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নীতি আফগান সরকারের মনোভাব এবং নীতির ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, ঢাকা রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসা একটি জনগণের সরকারে বিশ্বাস করে। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই কোনো সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করব না।

বুধবার মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ঢাকা আফগানিস্তানের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত কিংবা স্বাগত না জানানোর সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি, বরং সেখানে একটি স্থায়ী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, “ঢাকা এখনো পরিস্থিতি খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।” তিনি বলেন, ‘আমরা তাড়াহুড়ো করে কিছু করতে চাই না। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে যেকোনো যুদ্ধ থেকে সম্পূর্ণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দিকে ঢাকার মনোযোগ এখনো রয়ে গেছে।’