রাজধানীর আদাবর থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন বোনকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আদাবর থানা-পুলিশ। তারা হলো রোকেয়া আরা চৌধুরী, জয়নব আরা চৌধুরী ও খাদিজা আরা চৌধুরী।

আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ডিসি তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার), পিপিএম। খবর ডিএমপি নিউজের।

তিনি বলেন, ১৮ নভেম্বর তিন বোন হারিয়ে যাওয়া সংক্রান্তে আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাদের খালা সাজিয়া নওরীন। সেই জিডি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে আদাবর থানা-পুলিশ। তদন্তকালে তাদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের দাদির মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়। দাদির মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিন বোন তাদের পিতার কাছে যশোরে গ্রামের বাড়িতে আছে বলে জানা যায়।

তিনি আরও বলেন, তথ্য পাওয়ার পর যশোর জেলার কোতোয়ালি থানা-পুলিশকে নিখোঁজদের হেফাজতে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। থানা-পুলিশ ভিকটিমদের হামিদপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। পরে আজ শনিবার যশোর জেলা থেকে ভিকটিমদের ঢাকায় নিয়ে আসে আদাবর থানা-পুলিশ।

ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ২০১২ সালে ভিকটিমদের বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর তারা তিন বোন মায়ের কাছে থাকত। ২০১৩ সালে তাদের মা মারা যাওয়ার পর রোকেয়া আদাবরে তাদের বড় খালা সাজিয়া নওরীন ও জয়নব, খাদিজা খিলগাঁওয়ে তাদের ছোট খালা সামিয়ারা চৌধুরীর কাছে থাকত। জয়নব, খাদিজা এসএসসি পরীক্ষার্থী। এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে তিন বোন একসঙ্গে আদাবরে খালার বাসায় ছিল। আদর-যত্ন না পাওয়ার তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাই খালাদের কাউকে না জানিয়েই যশোরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

তিনি আরও বলেন, যশোরে বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তারা সবার আগে যশোরে তাদের দাদির সঙ্গে কথা বলে। দাদিকে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানায়। তিন বোনের কথা শুনে বাড়ি যাওয়ার জন্য তাদের দাদি বিকাশে তাদের ২ হাজার টাকা পাঠান। জননী সার্ভিসের একটি বাসে করে গাবতলী থেকে যশোরে যায় তারা।

তিন বোনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।