মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ভাষণ দেন। ছবি: বাসস

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য জনগণকে আর বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ হয়তো আগামী মাস থেকে এত কষ্ট আর থাকবে না।’

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রারম্ভিক ভাষণে একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল কিনতে ও গ্যাস আনতে অসুবিধা হচ্ছে। শুধু আমাদের দেশ নয়, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশও জ্বালানি সাশ্রয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে। তারাও হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমাদেরও কিছুদিনের জন্য কষ্ট পোহাতে হয়েছে। ইনশা আল্লাহ হয়তো আগামী মাস থেকে এত কষ্ট আর থাকবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারপরও তেল, পানি এবং জ্বালানি ব্যবহারে সকলকে সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে। কারণ, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার যে প্রভাব, তার থেকে আমরা মুক্ত নই। কারও এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে। যে যা পারেন উৎপাদন করেন। নিজের জমিতে ফসল ফলান। কেননা, সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের নিজেদের খাদ্যের সংস্থান নিজেরা করতে পারলে বিশ্বব্যাপী চলমান দুর্ভোগের আঁচ বাংলাদেশে লাগবে না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছি। আমাদের যা প্রয়োজন, তার থেকে বেশি উৎপাদন করছি। তারপরও আমরা আপৎকালীন খাদ্য সব সময় মজুত রাখি, যেন আমার দেশের মানুষের কোনো কষ্ট না হয়।’

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। চোখে দেখে না আমাদের দেশের কিছু মানুষ। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। এই গণতান্ত্রিক সরকার তাদের ভালো লাগবে না। অগণতান্ত্রিক কিছু হলে তাদের মূল্যটা বাড়ে। এটাই তারা ভাবে। বাংলাদেশে সেই খেলাই খেলতে চায় তারা। বারবার তো সেই খেলা চলেছে দীর্ঘদিন।