আহত পুলিশ কনস্টেবল খায়রুল ইসলাম। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে ছুরিকাঘাতে পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর প্রথম আলোর।

আহত পুলিশ সদস্যের নাম খায়রুল ইসলাম (৩৫)।তিনি আখাউড়া থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাতে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে কয়েকজন মাদক কারবারির মাদক কেনাবেচার খবর পায় পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে চার পুলিশ সদস্য শিবনগর গ্রামে অভিযানে যান। শিবনগর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী সেলিম ও সোহেল মিয়ার মাদক চোরাচালানের সময় পুলিশ সদস্যরা সেলিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালান। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সেলিম ও সোহেলের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে কনস্টেবল খায়রুলের পেটে ছুরিকাঘাত করে সেলিম ও সোহেল পালিয়ে যান। পুলিশ সদস্যরা আহত খায়রুলকে উদ্ধার করে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই পুলিশ সদস্যকে দেখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন ও আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম। রাত পৌনে ১১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. আওয়াতিফ বলেন, কনস্টেবল খায়রুলের পেটে ও কপালে আঘাতের চিহ্ন আছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যায় শিবনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সেলিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায় পুলিশ। তাঁর সঙ্গে মাদক কারবারি সোহেলও ছিলেন। দুজনের বাড়ি শিবনগরে। সেলিমকে গ্রেপ্তারের সময় কনস্টেবল খায়রুলকে তিনি ছুরিকাঘাত করেন। ওসি আরও বলেন, গুরুতর আহত হওয়ায় কনস্টেবল খায়রুলের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।