ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম-কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।

বুধবার (৩১ মে) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশিদ এ সময় বক্তব্য দেন।

অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি জামিল আহমদ, অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবির, এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. মনজুর রহমান, জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান এবং ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আপনারা জনমনে যে আস্থা তৈরি করেছেন, তা ধরে রাখতে আপনাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। আমরা সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনাকে সব সময় স্বাগত জানাই। ফলে আমাদের পেশাগত কাজ আরও শাণিত হয়। পেশাগত প্রয়োজনে পুলিশ-সাংবাদিক যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে দেশের স্বাধীনতার জন্য সাংবাদিকরা তাঁদের কলম দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন।

পুলিশপ্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। দুর্বার গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়তে চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং চালু করা হয়েছে। ফলে জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছে। জনগণের মাঝে পুলিশভীতি দূর করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রয়েছে।

আইজিপি বলেন, ক্র্যাবের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের যে পেশাগত সুসম্পর্ক রয়েছে, ভবিষ্যতে তা আরও সুসংহত হবে।

ক্র্যাবের সভাপতি বলেন, কাজের ধরন ও বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিত থেকেই পুলিশের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ রাখতে হয় ক্রাইম রিপোর্টারদের। পুলিশও ক্রাইম রিপোর্টারদের বন্ধু মনে করে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রেসক্লাবের পর বাংলাদেশে সাংবাদিকদের প্রথম কোনো বিটভিত্তিক সংগঠন হচ্ছে ক্র্যাব। মূলধারার গণমাধ্যমের ক্রাইম রিপোর্টাররাই এর সদস্য। স্বাধীনতার ৫০ বছরে পুলিশের যে বিবর্তন হয়েছে, তাতে ক্রাইম রিপোর্টারদেরও অবদান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আইজিপি ক্র্যাব নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। ক্র্যাব নেতৃবৃন্দও আইজিপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।