Zet Robatic App নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে অভিনব কৌশলে দেশের কোটি কোটি টাকা পাচার চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ বৃহস্পতিবার সিআইডির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিআইডি জানায়, চক্রটি চট্টগ্রামের বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউস Tasmia Associates-এর কাছ থেকে এজেন্ট সিম সংগ্রহ করে। এরপর সিমগুলো মডেমের মাধ্যমে ল্যাপটপ/কম্পিউটারে কানেক্ট করে। কানেক্ট করা হলে জেট রোবাটিক অ্যাপের মাধ্যমে সিমের কন্ট্রোল চলে যায় অ্যাপ নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তিদের হাতে, যারা দুবাই অফিস করে এই ডিজিটাল হুন্ডির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।

সিআইডি আরও জানায়, হুন্ডি চক্রটির হোতা শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন ২০২০ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে থাকে। সেখানে মামুনসহ আরও পাঁচজন অ্যাপটি নিয়ন্ত্রণ করে। মালয়েশিয়ান সফটওয়্যার ডেভেলপারের মাধ্যমে তৈরি করা এই অ্যাপ কাস্টমাইজ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে এ চক্র। তখন এজেন্ট সিমগুলো বাংলাদেশে থাকলেও এর নিয়ন্ত্রণ তারা দুবাই বসে করতে পারে। দুবাই বসেই তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন নম্বরে ক্যাশ-ইনের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত চক্রটি আনুমানিক প্রায় ৪০০ কোটি টাকা হুন্ডি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

চট্গ্রামে আজ সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার অভিযান চালিয়ে চক্রের পাঁচ সদস্য নাসিম আহমেদ (৬২), ফজলে রাব্বি সুমন (৩২), মো. কামরুজ্জামান (৩৩), জহির উদ্দিন (৩৭) ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পিয়াসকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল, সিম কার্ড, ল্যাপটপ ও মডেম উদ্ধার করা হয়।