তিন আসামিকে গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের বিষয়ে শনিবার ব্রিফিং করেন কেএমপি কমিশনার। ছবি: কেএমপি

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) বিশেষ অভিযানে মো. ইমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত মামুন হাওলাদার ওরফে পেস্টিং মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, ছয়টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলা পুলিশ মাদক কারবারি পলাশ ওরফে চিংড়ি পলাশ ও পারভীন সুলতানা ওরফে টিকলিকে ১ হাজার ৩৫০টি ইয়াবা বড়িসহ গ্রেপ্তার করে।

উল্লিখিত বিষয়ে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেএমপি সদর দপ্তরে ব্রিফিং করেছেন কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা।

ব্রিফিংয়ে কেএমপি কমিশনার বলেন, ‘খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল সময় সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, মাদক কারবারি, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক মাসে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্র, গুলি উদ্ধার, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ এবং এর সঙ্গে জড়িত অনেক আসামিকে আটক করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন গোবরচাকা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ইমন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। হত্যাকাণ্ডের অল্প সময়ের মধ্যে জড়িত পাঁচ আসামিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তন্মধ্যে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ডিবি পুলিশ জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ রাতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন গোবরচাকা এলাকার ডিবি পুলিশের চৌকস একটি টিম শাহিনুর মসজিদ রোড এলাকায় ইমন হত্যাকাণ্ডের এজাহারনামীয় ৪ নং আসামি পলাশ ওরফে চিংড়ী পলাশের বাড়ির সামনে থেকে মামুন হাওলাদার ওরফে পেস্টিং মামুনের দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশি রিভলবার এবং ছয় রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করে।’

কেএমপি কমিশনার বলেন, ‘উক্ত মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে একটি দস্যুতা, দুটি মারামারি এবং ১০টি মাদকের মামলাসহ সর্বমোট ১৩টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় দুটি সাজা পরোয়ানা রয়েছে। উক্ত মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জানান, তিনি পলাশ ওরফে চিংড়ি পলাশের বাড়িতে অবস্থান করেন। অতঃপর তাঁকে নিয়ে পলাশ ওরফে চিংড়ি পলাশের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। তল্লাশির একপর্যায়ে পলাশ ওরফে চিংড়ি পলাশের স্ত্রী পারভীন সুলতানা ওরফে টিকলি এবং পলাশের ভাইরা ভাই মো. সেলিম শেখকে ১ হাজার ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয়।’