অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। ছবি: রয়টার্স।

অস্ট্রেলিয়ার ৩১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। স্থানীয় সময় আজ সোমবার শপথ নেন তিনি। শপথ নেওয়ার পরদিন কাল মঙ্গলবার জাপানের টোকিওতে কোয়াড নিরাপত্তা সংলাপে যোগ দেবেন তিনি। সূত্র: প্রথম আলো।

আজ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অ্যালবানিজকে শপথবাক্য পাঠ করান গভর্নর জেনারেল ডেভিড হারলি। এদিন অ্যালবানিজের সঙ্গে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন লেবার পার্টির নেতা রিচার্ড মারলেস। এ ছাড়া পেনি ওং পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যাটি গ্যালাগার অর্থমন্ত্রী এবং জিম শালমারস কোষাধ্যক্ষ হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

৯ বছর বিরোধী দলে থাকার পর অবশেষে ক্ষমতায় ফিরেছে লেবাররা। গ্রিনস পার্টি এবং জলবায়ুকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোটে অন্তর্ভুক্ত করে ইতিমধ্যে গত শনিবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে তারা। তবে ভোট গণনা এখনো চলছে এবং সরকার গঠন প্রক্রিয়াও পুরোপুরি শেষ হয়নি।

নির্বাচনের দৌড়ে এগিয়ে থাকা অ্যালবানিজের কাছে ইতিমধ্যে পরাজয় মেনে নিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী স্কট মরিসন। এমন অবস্থায় কাল অনুষ্ঠেয় কোয়াড সংলাপে অংশ নিতে আজ মাত্র চার মন্ত্রীকে নিয়েই শপথ নিয়েছেন অ্যালবানিজ।

অ্যালবানিজ বলেন, তিনি গতকাল রোববার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। কাল জাপান ও ভারতের মন্ত্রীর পাশাপাশি বাইডেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এই সফরে তাঁর সঙ্গী হচ্ছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

শপথ নেওয়ার আগে সিডনিতে সাংবাদিকদের অ্যালবানিজ বলেন, ‘আমার জীবনে এটি এক বড় দিন। সরকার পরিবর্তন হওয়ার কারণে দেশের জন্যও বড় দিন এটি। আমি এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। আমাদেরকে পরিবর্তনের রূপরেখা তৈরি করতে হবে, যেন এই পরিবর্তনের যাত্রায় জনগণকে আমাদের পাশে রাখা যায়। আমি দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।’

মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়ের জন্য এখনো চারটি আসন কম আছে। পার্লামেন্টের ১৫১ আসনবিশিষ্ট নিম্নকক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য তাঁদের অন্তত ৭৬টি আসনে জয় পেতে হবে। এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় দলটি ৭২টি আসন পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সব ভোট গণনা শেষে লেবার পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যেতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ায় ডাকযোগে নেওয়া ২৭ লাখ ভোট গণনা এখন চলছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল পেতে কয়েক দিন লালবে বলে মনে করা হচ্ছে।