সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার

বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয়ের পাশাপাশি সুসমন্বিত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম।

অমর একুশে বইমেলা-২০২৩ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ডিএমপি কমিশনার।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার শুভ উদ্বোধন করবেন। মেলা শেষ হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মাতৃভাষাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভাষা আন্দোলনের সকল বীর শহীদকে স্মরণ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মহান ভাষার মাসে আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাঙালির ঐতিহ্য ও প্রাণের বইমেলা। ইতোপূর্বে মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বিত সভা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বইমেলার আশপাশের রাস্তায় ফুট প্যাট্রলের পাশাপাশি হোন্ডা মোবাইল নিয়োজিত থাকবে। মেলার অভ্যন্তরে পর্যাপ্তসংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে পুলিশ থাকবে। এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সার্বক্ষণিক অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুমে অবস্থান করবে।’

কমিশনার আরও বলেন, ‘বইমেলায় যাতে সহজে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারেন, এ জন্য বাংলা একাডেমিতে ২টি প্রবেশ ও বের হওয়ার ১টি গেট, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩টি প্রবেশ ও বের হওয়ার আলাদা গেট রাখা হয়েছে। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে বইমেলায় প্রবেশ করতে হবে। ছুটি বা বিশেষ দিনে ভিড় এড়াতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন গেট দিয়ে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা যাবে।’

তিনি বলেন, যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে সমস্ত বইমেলা প্রাঙ্গণসহ, শাহবাগ মোড়, পলাশী মোড় ও আশপাশের সমস্ত এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বসে এসব সিসি ক্যামেরা রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে মোবাইল টিম পৌঁছে যাবে। এ ছাড়া কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য বা লেখা প্রচারের চেষ্টা করলে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, বইমেলা ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। তবে নিরাপত্তার খাতিরে কোনো কিছুই ছোট করে দেখা হচ্ছে না। বইমেলায় আসা সকল দর্শনার্থী ও সুপ্রিয় বইক্রেতাদের সুষ্ঠুভাবে প্রবেশের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বইমেলায় সংবাদ সম্মেলনকালে ডিএমপি কমিশনার মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল ও নিরাপত্তাব্যবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বাংলা একাডেমির কর্মকর্তাবৃন্দ, লেখক ও প্রকাশক সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।