রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। ছবি: পিআইডি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি অপচয় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বিলাস দ্রব্য এড়িয়ে চলা, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও তহবিলের অপব্যবহার রোধ করার আহবান জানান।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দা চলছে-তাই প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অপচয় বন্ধের পাশাপাশি মিতব্যয়ী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিলাসী পণ্য এড়িয়ে চলার আহবান জানিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।

মান্নান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের গ্রামীণ ছোট প্রকল্প বা কল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে আসতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আয়েশী বা বিলাসী প্রকল্প নেওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা গ্রামীণ ছোট প্রকল্প বা কল্যাণমূলক প্রকল্পের সাথে আপস করতে পারি না। এখন মেগা প্রকল্প নেওয়া যাবে না।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেকের চেয়ারপার্সনও বটে। তিনি যে কোনো বড় প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বলেছেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনাবাদী জমি খুঁজে বের করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সচিব যেন জেলা প্রশাসকদের সহায়তা নিয়ে এসব অনাবাদী জমি খুঁজে বের করে আবাদযোগ্য করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমিষ ও প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে মুরগি, গবাদি পশু ও শাকসবজির উৎপাদন বাড়ানোর উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বলেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে, যাতে আমরা স্বনির্ভর হতে পারি। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না।

মান্নান বলেন, ‘আক্ষরিক অর্থে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ থেকে বেরিয়ে এসেছে, কিন্তু আমরা এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাই ডেঙ্গু জ্বরের প্রার্দুভাব কমাতে বাসা-বাড়ি ও অফিস-আঙিনা পরিষ্কার রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দেশবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’