খুলনায় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে স্কুলছাত্রীদের যৌন হয়রানিকারী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে।

জানা গেছে, ৭ আগস্ট রোববার বেলা দেড়টায় ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’নম্বরে যৌন হয়রানির অভিযোগ জানিয়ে খুলনা সদর থানার গগন বাবু রোড থেকে একজন কলার জানান, তাঁর এলাকায় স্কুলের ছাত্রীদের প্রতি কিছু বখাটে ছেলে প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানিমূলক আচরণ (ইভ টিজিং) করে। তিনি ৯৯৯ এর কাছে আইনি ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানান। ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল আকাশ নাথ কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা সদর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

খবর পেয়ে খুলনা সদর থানার একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায় এবং ঘটনাস্থল থেকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে আলিম হোসেন (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে অভিযুক্তের অভিভাবকেরা থানায় হাজির হয়ে এ ধরনের অপরাধ আর করবে না মর্মে মুচলেকা দিলে অভিযুক্তকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

একই দিন বেলা দুইটায় সাতক্ষীরার কলারোয়ার বোয়ালিয়া থেকে বাল্যবিবাহের সংবাদ জানিয়ে একজন কলার জানান, তাঁর গ্রামে একটি বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে কনের বয়স ১১ বছর। কলার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ৯৯৯ এর কাছে আইনি সহায়তার জন্য অনুরোধ জানান। ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কলারোয়া থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

খবর পেয়ে কলারোয়া থানার একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায় এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। পরে কলারোয়া সদর ইউএনওর ভ্রাম্যমাণ আদালত কনের নানাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।