পিরোজপুরের গ্রামাঞ্চলে মাত্র ৫০ পয়সা দিয়ে এক লিটার বিশুদ্ধ পানি কেনা যাবে।
এ লক্ষ্যে ২৬টি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের প্ল্যান্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে। খবর বাসসের।
পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পে রিভার অসমোসিস প্ল্যান্টের মাধ্যমে এ জেলায় প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে নাজিরপুরের ৭টির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। মঠবাড়িয়ার ৭টি এবং ভান্ডারিয়ার ১২টির নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
প্রতিটি প্ল্যান্ট নির্মাণে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা।
পিরোজপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এসব প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন করছে।
নাজিরপুরের বড়ইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম বুইচাকাঠী দারুস সালাম মাদ্রাসা, খেজুরতলা মাদ্রাসা, শেখমাটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিপাগলা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, কুমারখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দিঘিরজান হরিসভা প্রাঙ্গণে রিভার অসমোসিস প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের এ প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
চলতি মাসেই এ ৭টি প্ল্যান্ট থেকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ শুরু হবে। আর্সেনিকযুক্ত পানি তুলে পরিশোধন করে ৮ হাজার লিটার পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাংকে রাখা হবে। সেখান থেকে ৫০ পয়সা প্রতি লিটারের মূল্য পরিশোধ করে যেকোনো ব্যক্তি এ বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি নিতে পারবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি রক্ষণাবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হবে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলিম গাজী জানান, উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের বেশ কিছু এলাকায় গভীর নলকূপ সফল না হওয়ায় সেসব এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে নদী-নালা, খাল-বিলের পানি পান করে। সরকার তাদের দোরগোড়ায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে এসব প্ল্যান্ট তৈরি করছে।
নাজিরপুরের শেখ মাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আতিউর রহমান নান্নু জানান, তাঁর ইউনিয়নে ৩টি প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষের অকল্পনীয় উপকার হবে।