পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে রাজবাড়ীর পাংশা থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (২০ আগস্ট) সকালে পাংশা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দড়ি ও লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন।

আসামি মিলন শেখের (২৭) বাড়ি পাংশা থানাধীন মুচিদহ খামারডাঙ্গী এলাকায়। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বাকি দুই আসামির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ জানান, ভুক্তভোগী রুনা বেগমের বাড়ি পাংশা থানাধীন মুচিদহ গ্রামে। তাঁর স্বামী কাতারে থাকেন। দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন তিনি। গত শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে প্রতিবেশী মিলন রক্তচাপ মাপার অজুহাতে রুনার বাড়িতে আসেন। পরিকল্পনা ছিল প্রবাসীর বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের। এ সময় দরজা খুললে রুনাকে বাইরে টেনে আনেন মিলন ও তাঁর সহযোগীরা। চিৎকার করলে রুনাকে গলা টিপে হত্যা করেন তাঁরা। পরে রুনার মোবাইল ফোন নিয়ে তাঁরা পালিয়ে যান।

পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় পাংশা থানায় মামলা করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।