আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্সিয়াল স্ক্যামার চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট। বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে লেনদেনের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর ডিএমপি নিউজের।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো. জিয়াউল হক ও মো. সাজিদ হাসান সেতু। গতকাল মঙ্গলবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম।
সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে একটি বিদেশি বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রা আত্মসাৎ ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া যায়। আর্থিক প্রতারণার শিকার বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটিতে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের পাশাপাশি ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের অংশ হিসেবে প্রতিটি নতুন রেজিস্ট্রেশনকৃত অ্যাকাউন্টের বিপরীতে অনধিক এক ডলারের সমপরিমাণ অর্থ উক্ত অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাময়িকভাবে দিয়ে থাকে। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এই অর্থ ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই উক্ত প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে রিটার্ন করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির এই অ্যাকাউন্ট অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়ার সুযোগ নিত। তারা প্রথমে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশি-বিদেশি প্রতারক চক্রের কাছ থেকে পারফেক্ট মানি, ওয়েবমানি, পেওনার অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে ভুয়া নাম-ঠিকানাসংবলিত সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার ও বিদেশি ব্যাংকের বেনামে তৈরি করা অ্যাকাউন্ট ক্রয় করত। অনলাইন থেকে ক্রয় করা এই তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে তারা প্রতিটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে উক্ত বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটির ৩০০/৪০০টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করত। এভাবে ৩০০/৪০০টি অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য অর্থ একসঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হলে চক্রটি ওই অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফেরত যাওয়ার আগেই অন্য একটি ব্যংক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিত।