‘সবুজ করি কুড়িগ্রাম’ স্লোগানে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চারাগাছ বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে আজ ৩ আগস্ট কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ি ডিগ্রি কলেজ ও নাগেশ্বরী উপজেলা প্রশাসন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে চারাগাছ বিতরণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম এ চারাগাছ বিতরণ করেন।

কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ি ডিগ্রি কলেজে চারাগাছ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রুহুল আমীন, কুড়িগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ.কে.এম. ওহিদুন্নবী, টিআই প্রশাসন বানিউল আনাম, কাঠালবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবেদ আলী, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুকসহ কাঠালবাড়ি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এদিকে নাগেশ্বরী উপজেলা প্রশাসন স্কুলে বৃক্ষরোপণ ও চারাগাছ বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান, নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন রেজা, পৌর মেয়র জনাব মোহাম্মদ হোসেন ফাকু, উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান, নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশিকুর রহমান পিপিএম, টিআই প্রশাসন বানিউল আনামসহ নাগেশ্বরী উপজেলা প্রশাসন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ‘সবুজ করি কুড়িগ্রাম’ কর্মসূচির মাধ্যমে চারাগাছ বিতরণ করায়
নাগেশ্বরী ইউএনও, পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সকলে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, নিঃসন্দেহে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা সকলে মিলে এই গাছগুলোর পরিচর্যা করব।

পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সবুজ করি কুড়িগ্রাম কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার চারাগাছ বিতরণ করেছি, পাশাপাশি থানায় আসা সম্মানিত সেবাগ্রহীতা, জেলখানা থেকে জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত নাগরিক, সংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণর পেশার মানুষের মাঝে এই চারাগাছগুলো বিতরণ করছি এবং বিভিন্ন থানা এলাকায় রাস্তার পাশে চারাগাছ রোপণ ও তার পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা অব্যহত রেখেছি।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ক্লাইমেট জাস্টিস নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অহর্নিশ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতি ইঞ্চি জমিকে প্রোডাকটিভ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। নাগরিক হিসেবে আমাদের এই ধরণীকে উপযোগী রাখতে আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তা ছাড়া পুলিশ হিসেবে আমরা মনে করি, যারা প্রকৃতির সাথে জীবন যাপন করে, তারা অপরাধপ্রবণ হয় না। গাছ লাগানো, বইপড়া ইত্যাদি ইতিবাচক অপশনসমূহকে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে, নেতিবাচক কাজসমুহ যেমন, মোবাইল আসক্তি, জুয়া, নেশা আসক্তি কমে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা আশা করি ‘সবুজ করি কুড়িগ্রাম’ কর্মসূচির মাধ্যমে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় আমরা কুড়িগ্রাম জেলাকে জলবায়ু সহিষ্ণু অপরাধহীন সমাজে রূপান্তর করতে সক্ষম হবো।