
শেরপুর সদর থানাধীন সূর্যদী গ্রামে মুক্তিযুদ্ধে ও গণহত্যায় শহীদ এবং যুদ্ধাহত পরিবারের সদস্যদের মাঝে শেরপুর পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা তিনটায় সূর্যদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শেরপুর পুনাক আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সূর্যদী গ্রামের যুদ্ধাহত ও গণহত্যায় শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর পুনাকের সভানেত্রী সানজিদা হক মৌ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরপুরের এসপি মো. কামরুজ্জামান বিপিএম।
পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও সূর্যদী গ্রামে ১৯৭১ সালের (২৪ নভেম্বর) যুদ্ধে গণহত্যায় শহীদ এবং যুদ্ধাহতদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সূর্যদী’র লোমহর্ষ গণহত্যার ঘটনাটি শুনেছি। আমি ২৪ নভেম্বরকে শুধু সূর্যদী যুদ্ধ বা গণহত্যা দিবসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। এই ঘটনাকে আমি ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে রাখতে চাই। আমি একটি নাটক বা সিনেমা বানিয়ে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে পৌঁছে দিতে চাই। সেদিন আফছারের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রায় ৩৯ জন যাঁরা জীবিত আছেন, আপনারা ছিলেন সেই কালের সাক্ষী। আমরা এই ইতিহাসগুলোকে লালন ও সংরক্ষণ করতে চাই। আমরা বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধরে রাখতে চাই। আমরা বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বিশ্বাসী হলে দেশপ্রেমিক একটি জাতি বা সন্তান পাব। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক। সেই জন্যই আমরা একজন নেতাকে পেয়েছি, যাঁর কথা আমরা বারবার বলি, বলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা অনেকে ১৯৭১ সালের (২৪ নভেম্বর) সূর্যদী গণহত্যার কথা ভুলে গেছি। কিন্তু পুলিশ সুপার মহোদয় এসে মুক্তিযুদ্ধে সূর্যদী গণহত্যার বিষয়গুলো মনেপ্রাণে লালন করেছেন।’ পরিশেষে তিনি পুলিশ সুপার ও পুনাক সভানেত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), শেরপুর; মো. সোহেল মাহমুদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), শেরপুর; বছির আহমেদ বাদল, অফিসার ইনচার্জ শেরপুর সদর থানা, শেরপুর; উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধ ও যুদ্ধাহত ও গণহত্যায় শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।