উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এর দাপটে আজ শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে জেলায়। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খবর যুগান্তরের।

জেলাজুড়ে চলমান মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও ২-৩ দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই পরিস্থিতিতে ঘন কুয়াশা আর হিম হিম ঠাণ্ডা বাতাসে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

কৃষিখেতে শ্রমিকেরা এবং যানবাহন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষ পড়েছেন বিপাকে। এ ছাড়া কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে বোরো বীজতলা ও আলুখেত নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক। ছত্রাকের আক্রমণ থেকে আলুখেত রক্ষা করতে ঘন ঘন ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে কৃষকদের। তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে কৃষকেরা করছেন বোরো রোপণের কাজ।

কুড়িগ্রামের হলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচরের কৃষক আবদার হোসেন জানান, এবারে অনেক খরচ করে আলু লাগিয়েছি। তীব্র ঠাণ্ডার কারণে সদ্য বেড়ে ওঠা আলুখেত নিয়ে চিন্তায় আছি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শামসুদ্দিন মিঞা জানান, শৈত্যপ্রবাহ ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় আবাদের তেমন কোনো ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় শীতার্তদের জন্য ১ কোটি ৮ লাখ টাকার কম্বল ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত আরও ৩৫ হাজার ৭০০ কম্বল বিভিন্ন উপজেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত ৬ হাজার সোয়েটার ও ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।