চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরু থেকে অনেকের ফেভারিটের তালিকায় ছিল না অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সেই দুই দলই আজ রোববার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে নামছে। আজ দুবাইয়ের মাঠে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। খবর যুগান্তরের।
গতকাল শনিবার প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ জানালেন, শিরোপা জেতার পরিষ্কার পরিকল্পনা নিয়েই তাঁরা আরব আমিরাতে এসেছেন।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল কি আপনার কাছেও অপ্রত্যাশিত? এমন প্রশ্নে ফিঞ্চ বলেন, ‘আমার কাছে মোটেও অপ্রত্যাশিত নয়। শুরুতে কেউ আমাদের সম্ভাবনা না দেখলেও আমাদের মধ্যে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস ছিল। শিরোপা জেতার পরিষ্কার পরিকল্পনা নিয়েই এখানে এসেছি আমরা। আমরা জানতাম, এই পর্যায়ে আসার মতো মান ও গভীরতা আমাদের স্কোয়াডে আছে। নিউজিল্যান্ডও আইসিসি টুর্নামেন্টে নিয়মিত ফাইনালে খেলছে। তিন সংস্করণেই অসাধারণ এক দল তারা। এমন একটি দলকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ
নেই। বাইরের মানুষ সেটা করতে পারে, কিন্তু আমরা তাদের নাম সম্পর্কে সচেতন। তাদের সেই অভিজ্ঞতা ও মান আছে। নিউজিল্যান্ডের ফাইনালে ওঠা তাই আমার কাছে কোনো বিস্ময় নয়।’
ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার তুরুপের তাস হতে পারেন কে? উত্তরে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘এটা অনেক বড় ম্যাচ। আমি মনে করি না, এটা একজনের ওপর নির্ভর করবে। সবাইকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। টুর্নামেন্টজুড়েই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমাদের ১১ জনই দলের জয়ে অবদান রেখেছে। এটা খুবই তৃপ্তিদায়ক। ফাইনালে ব্যাটে-বলে পাওয়ার প্লেতে আপনি কেমন করবেন, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পাওয়ার প্লের পারফরম্যান্সই ম্যাচের সুর বেঁধে দেয়। টস নিয়ে আমি ভাবছি না। আগে ব্যাট করি বা পরে, সেরাটাই খেলতে হবে।’
জানতে চাওয়া হয়, নিউজিল্যান্ড কতটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ? জবাবে অ্যারন ফিঞ্চ বলেন, ‘সব বিভাগেই তারা সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী। তাদের ফিল্ডিং অসাধারণ। তাদের বিপক্ষে জিততে হলে ৪০ ওভারই আপনাকে ভালো খেলতে হবে। কেন উইলিয়ামসনের মতো দুর্দান্ত একজন নেতা আছে তাদের। যেকোনো পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে যায়।’