পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিএসটিইউ) মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা স্মার্ট পুলিশিংসহ সংশ্লিষ্ট বিষয় পরিচালনার জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
পিএসসির কনফারেন্স কক্ষে উভয় প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বুধবার ওই এমওইউ সই হয়।
কলেজের পক্ষে রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম এবং ইউনিভার্সিটির পক্ষে সিএসটিইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাসিম আক্তার সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাবিদ এবং পেশাজীবীগণের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
পুলিশ কর্মকর্তাদের উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি শিক্ষাবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রেক্টর বলেন, এর ফলে শুধু পুলিশ সদস্যরাই নন, দেশের জনগণ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। একই সঙ্গে আইনি সেবা প্রদানের পদ্ধতি ও কৌশল লাভের মাধ্যমে আইনি সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক অপরাধের সঙ্গে দেশের অপরাধের মধ্যে বৈচিত্র্য এসেছে। উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে কর্মকর্তারা অপরাধ মোকাবিলায় তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান লাভে সক্ষম হবে।
রেক্টর বলেন, রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য স্মার্ট পুলিশিং কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক জ্ঞান সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিএসটিইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাসিম আক্তার বলেন, ‘উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি করে ফলিত গবেষণাকাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধের ক্ষেত্র প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হওয়ায় অপরাধীরাও তাদের কাজের ধরন পরিবর্তন করছে। এমতাবস্থায় শিক্ষাবিদ ও পুলিশ পেশাজীবীদের মধ্যে কাজের সমন্বয়ের জন্য এ ধরনের চুক্তি কাঙ্ক্ষিত ছিল। আগামী দিনে আমাদের কাজের পরিধি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে, এ প্রত্যাশা করছি।’
সভাপতি এ এফ এম মাসুম রব্বানী, এসডিএস (ট্রেনিং), পিএসসি এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি উপাচার্যসহ উপস্থিত সব শিক্ষাবিদ ও কর্মকর্তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।