মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশ পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর ৬ জন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ সর্বস্তরের নেতারা অংশ নেন।
নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ, অনৈতিক আখ্যা নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। ‘নিষেধাজ্ঞা তুলে নাও নিতে হবে’ দাবি জানানো হয়।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সারা বিশ্ব যখন জঙ্গিবাদ আলোড়িত একটি বিষয়, সেই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে এবং এই জঙ্গি নির্মূলে যেই সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, সেই সংস্থাকে আঘাত করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কার পক্ষে? জঙ্গিবাদের পক্ষে? নাকি শান্তির পক্ষে?
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এখানে তৃতীয় কোনো শক্তি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। যে বাহিনী নারী পাচার রোধ, মাদক চোরাচালান রোধসহ জঙ্গিবাদ নির্মূলে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে, তাদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন এমন সিদ্ধান্ত? অনতিবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেক এম খান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী বাকী, সিনিয়র সহসভাপতি শিব্বীর আহমেদ, সহসভাপতি জি আই রাসেল, নুরল আমিন, আযম আযাদ, যুগ্ম সম্পাদক হারুনুর রশীদ, কামাল হোসেন, মেট্রো ওয়াশিংটন যুবলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম রাজু, নুরুল ইসলাম নজরুল, সাইকুল ইসলাম, এমদাদ চৌধুরী, হিন্দাল কাদের বাপ্পা, জেবা রাসেল, দস্তগীর জাহাঙ্গীর প্রমুখ।