মালির রাজধানী বামাকোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২২ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৭ মে বেলা সাড়ে ৩টায় মিনুসমা হেডকোয়ার্টার্সে মিনুসমা মেমোরিয়ালের সামনে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালির আউটসাইড অ্যান্ড আফ্রিকান ইন্টিগ্রেশন মন্ত্রী আহমাদু এজি ইলিয়েন, এসআরএসজি অ্যান্ড হেড অব মিনুসমা এম এল-গাসিম ওয়ানে, ফোর্স কমান্ডার অব মিনুসমা, পুলিশ কমিশনার অব মিনুসমা, ডেপুটি চিফ অব অপারেশন, আনপোল, মিনুসমা ও এফপিইউ কো-অর্ডিনেটর, বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮) এর কমান্ডার হাসান মো. শওকত আলী ও বিভিন্ন দেশের আইপিও এবং অন্যান্য বাহিনীর কমান্ডারবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আয়োজিত প্যারেডে প্লাটুন কমান্ডার মীর আবিদুর রহমানের নেতৃত্বে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮) এর ২০ জন নারী সদস্যসহ মোট ২৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি দল অংশ নেয়। প্যারেডে আরও অংশ নেয় বেনিন আর্মি, সেনেগাল এফপিইউ ও মিনুসমা ফায়ার সার্ভিসের দল।
এসআরএসজি অ্যান্ড হেড অব মিনুসমা এম এল-গাসিম ওয়ানেসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮) এর প্যারেডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধান ও বিশেষ অতিথিগণের বক্তব্যের পর মিনুসমা মেমোরিয়ালে শহীদ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীগণের স্মরণ ও সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠান সমাপ্তির পর উপস্থিত অতিথিবৃন্দ প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২২ উপলক্ষে গত ২৯ মে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮) এর সদস্যবৃন্দ একটি র্যালির আয়োজন করে। র্যালির আগে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮) এর কমান্ডার হাসান মো. শওকত আলী আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের তাৎপর্য সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
এযাবৎকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের ২১ জন সদস্য নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৫ মে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৩) এর কনস্টেবল মো. ছামিদুল ইসলাম ও মোতাহার হোসেন দায়িত্বরত অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে প্রাণ হারান। ২৯ মে আসরের নামাজের পর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার কার্যক্রমে নিহত পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফিরাতের জন্য বিএএনএফপিইউ-১ এর মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া রাত ৯টায় বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮) কর্তৃক এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮) সদস্যদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান, কবিতা, আধুনিক গান ও গীতিনাট্যের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।