ভালুকায় গ্রেপ্তার হওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি। ছবি: ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ

ময়মনসিংহের ভালুকা থানার জামিরাপাড়া এসএম উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী গত ৮ জানুয়ারি নতুন বই নেওয়ার জন্য স্কুলে যায়। ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘সুমন’ নামের এক ব্যক্তি তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে ভালুকা নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে বিকেলে গফরগাঁও নিয়ে যায়। এর মধ্যে সুমন আরও তিনজন বন্ধুকে গফরগাঁও-ভালুকা সীমানা এলাকায় ডেকে নিয়ে আসে। এরপর ভালুকা থানাধীন কাইসন-বিরানিয়া রাস্তার পাশে একটি নিরিবিলি স্থানে রাত নয়টা থেকে পরের দিন সকাল ছয়টা পর্যন্ত মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে চান্দাবো এলাকায় তারা মেয়েটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনার পর ভালুকা থানায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এরপর ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদের (পিপিএম) দিক-নির্দেশনায় ভালুকা থানার একটি চৌকষ দল প্রথমে ‘সুমন’ এর প্রকৃত পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তাঁর নাম উজ্জ্বল মিয়া (২৯)। তিনি ভালুকার কেল্লাবো গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে।

তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সুমন এর আগে এই ধরণের অপরাধ আরও করেছে। শেষ পর্যন্ত ভালুকা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে আজ শনিবার লালমনিরহাট সদর থানার বত্রিশ হাজার এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন বিভিন্ন সময়ে সাতজন মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।