ভুক্তভোগী ও তাঁর মা-বাবা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আপন ভাই ও বোনকে ফাঁসাতে অভিনব নাটক সাজিয়েছিলেন এক নারী। সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন ভাই ও বোনকে। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশের বিচক্ষণতায় ভেস্তে গেছে সেই পরিকল্পনা।

সোমবার (২৯ আগস্ট) জেলা পুলিশ জানায়, দীননাথপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গত শনিবার (২৭ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এসে অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে আপন (১২) গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) নানা-নানিকে খাবার দিয়ে ফেরার সময় নিখোঁজ হয়। আপন ভায়রা ও শ্যালকের সঙ্গে গরু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর দ্বন্দ্ব আছে। বেশ কয়েকবার ঝগড়া হয়েছে এবং তাঁর ছেলেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। অপহরণের সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।

পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে তৎপর হয় পুলিশ। দেশের বিভিন্ন থানায় বিষয়টি অবগত করা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি দল। এ সময় ভুক্তভোগীর মায়ের আচরণে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে দুপক্ষকেই নজরদারিতে রাখা হয়।

কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগীর বাবা কল করে জানান, তাঁর ছেলেকে হাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাঁকে দুই দিন মাঠের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

পরে ভুক্তভোগীকে থানায় নিয়ে আসে তাঁর পরিবার। আপন জানায়, সে কাউকে চিনতে পারেনি। কিন্তু এই বক্তব্যে সন্দেহ হয় পুলিশের।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আপন জানায়, রাগ করে বাড়ি থেকে চুয়াডাঙ্গায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল সে। সত্যতা নিশ্চিত করতে ওই আত্মীয়ের বাড়িতে রওনা হয় পুলিশ। এ সময় থানা থেকে খবর আসে, আপনের মা অসুস্থ হয়ে গেছে। তখন বিষয়টি স্পষ্ট হয় পুলিশের কাছে।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আপনের মাম জানান, ভাই ও বোনকে ফাঁসাতে তিনি এই নাটক সাজান।