বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার গোড়গ্রামে অভিযান চালিয়ে চোরাই ল্যাপটপসহ এক চোরকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানা-পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামি মো. শফিকুল ইসলাম (৫৩) বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার গোড়গ্রামের মো. মকবুল হোসেনের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার বিলগাতুয়া গ্রামের এস এম শাহিনুর রহমান (২৫) রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি ১৩ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টায় ময়মনসিংহে তাঁর ভাইয়ের কাছে যাওয়ার জন্য বোয়ালিয়া থানার ভদ্রা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একটি বাসে ওঠেন। সেখানে বাসের সিটের ওপর ল্যাপটপের ব্যাগ রেখে তিনি হাতমুখ ধোয়ার জন্য নিচে একটি হোটেলে যান। হাতমুখ ধুয়ে ফিরে এসে দেখেন, তাঁর ল্যাপটপের ব্যাগের মধ্যে ল্যাপটপটি নাই। আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বোয়ালিয়া থানায় এজাহার দায়ের করলে একটি চুরির মামলা রুজু হয়।
এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপি বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিভূতি ভূষন বানার্জী, পিপিএম -এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. হাফিজুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় বোয়ালিয়া থানা পুলিশের একটি টিম চোরাই ল্যাপটপ উদ্ধারসহ আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
পরে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো হুমায়ুন কবির , এসআই ইকরামুল ইসলাম ও তাঁর টিম আরএমপি’র অপারেশন কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টারে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিকে শনাক্ত করে। এরপর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ওই টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ১৪ মার্চ দিবাগত রাত পৌনে ২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গোড়গ্রাম থেকে আদমদিঘী থানা-পুলিশের সহযোগিতায় আসামি মো. শফিকুল ইসলামকে চোরাই ল্যাপটপসহ গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।