সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানা-পুলিশ বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ১৪ জুন থেকে টানা বর্ষণের ফলে বিশ্বম্ভরপুরে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে থানার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢোকে। এই পরিস্থিতিতে থানাধীন এলাকাগুলোর বহু মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল বনিকের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিনভর থানার সব অফিসার ও ফোর্স দুটি টিমে বিভক্ত হয়ে উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। ধরেরপাড় গ্রামের ১০টি পরিবার ও দুর্গাপুর গ্রামের ৫ পরিবারকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দেন পুলিশ সদস্যরা। বিশ্বম্ভরপুর মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া পরিবারদের দুপুরের খাবারের জন্য চিকেন বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া থানার সামনের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের মালপত্র উদ্ধার করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। একজন ক্যানসার-আক্রান্ত রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশের সরকারি গাড়িতে করে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং রোগীর সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন ওসি শ্যামল বনিক।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে একজন করে গ্রাম-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব পুলিশ সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং ফুট প্যাট্রল, মোবাইল প্যাট্রল ও নৌ-প্যাট্রল ডিউটি চালু রয়েছে।