মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য পরিষেবার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন আকাশপথে যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।
‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং’ উপলক্ষে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এই টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করল। এর ফলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক যোগাযোগ, টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিমান পরিবহন সেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রয়োজনে আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা জরুরি। এ লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিমানবন্দরে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের নতুন তৃতীয় টার্মিনাল ভবনটিতে অত্যাধুনিক ফ্যাসিলিটিজসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ এয়ার ট্রাফিক মুভমেন্টের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা দেশের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, নবনির্মিত এ টার্মিনালের মাধ্যমে বছরে অতিরিক্ত ১৬ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে, যা যোগাযোগ ও পরিবহন ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি আশা করি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল দেশের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবে, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত করবে এবং নতুন নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের আকাশপথের সঙ্গে যুক্ত হবে।