মুক্তা বেগম কেডিএস নামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁর স্বামী আবদুল মাংস বিক্রেতা । চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রৌফাবাদের রাজা মিয়ার কলোনিতে দু-তিন বছর ধরে বসবাস করছেন তাঁরা। ওই দম্পতির বড় ছেলে মো. নয়ন খাগড়াছড়িতে চাচার দোকানে কর্মরত। মেজো ছেলে মো. রাসেল রৌফাবাদ মাদ্রাসায় হেফজ কোর্সে অধ্যয়নরত। ওই দম্পতির মেয়ে নাজমা আক্তার ও দেড় বছর বয়সের ছোট ছেলে মো. আরজু বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে।
১৩ এপ্রিল মুক্তা বেগম সকালে ছোট ছেলে আরজুকে তাঁর মেয়ের কাছে রেখে কাজে যান। স্বামী ভোরে মাংস কাটার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যান।
রৌফাবাদ হযরত আলীর কলোনিতে বসবাসরত কুলসুমা আক্তার নামের এক নারী ওই দিন সকাল সাড়ে দশটার দিকে মুক্তা বেগমের বাসায় ঢুকে ছোট ছেলে আরজুকে আদর করে কোলে তুলে তাঁর নিজ বাসায় নিয়ে যান। পরে কুলসুমা আক্তার আরজুকে নিয়ে তাঁর বর্তমান বাসায় তালা দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যান।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসআই শাহআলম ও তাঁর ফোর্স সিসিটিভি ফুটেজ, শনাক্তকরণের আধুনিকতম প্রযুক্তি, ম্যানুয়াল সোর্স, ম্যাপিং ও জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে আরজুকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্য কুলসুম, সোহেল ও খোরশেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।