প্রতীকী ছবি

বায়ুদূষণের শীর্ষ তালিকায় থাকা বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারতের দিল্লি। তার ফলও ভোগ করতে হয় দিল্লিবাসীকে। এক গবেষণা বলছে, দিল্লির ৭৫ শতাংশের বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক শ্বাসকষ্টে ভুগছে।

ভারতের দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের বরাত দিয়ে ঢাকা পোস্ট আজ বুধবার এ কথা জানিয়েছে।

এমনিতে বছরজুড়ে দূষণ চললেও শীতকালে তার মাত্রা অনেক বেড়ে যায় দিল্লির বাতাসে; আর এই অব্যাহত বায়ুদূষণের ফলে ভারতের রাজধানী শহরে দিন দিন বেড়ে চলেছে শ্বাসকষ্টে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা।

রাজধানী নয়াদিল্লিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটট (টেরি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দিল্লির ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের ৭৫ দশমিক ৪ শতাংশই মৃদু কিংবা মাঝারি মাত্রার শ্বাসকষ্টে ভুগছে।
তার বাইরে চোখে চুলকানি ও জ্বালাপোড়াজনিত উপসর্গে ভুগছে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ, দীর্ঘস্থায়ী সর্দিতে ভুগছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং শুকনা কাশিতে ভুগছে ২০ দশমিক ৯ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের নানাবিধ সমস্যায় আক্রান্ত অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যাও প্রতিদিন বাড়ছে দিল্লিতে।

টেরির গবেষক দলের অন্যতম সদস্য কানাহাইয়া লাল হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর ও দূষণমুক্ত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সর্বোচ্চ ৬০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত সিসা বা অন্যান্য ধাতব অণু থাকতে পারে।’

‘কিন্তু দিল্লিতে ২০১৯ সালে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সিসা ও অন্যান্য ধাতব অণুর পরিমাণ ছিল ২৩৩ ন্যানোগ্রাম এবং ২০২০ সালে তা বেড়ে পৌঁছায় ৪০৬ ন্যানোগ্রামে; তার মধ্যে মারাত্মক বিষ আর্সেনিক অণুর উপস্থিতি ছিল ৩ ন্যানোগ্রাম।’

ভারতের চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাসের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে দিল্লিবাসীর অধিকাংশই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন। বাতাসে সিসার পাশাপাশি নিয়মিত বাড়ছে ক্যাডমিয়াম ও আর্সেনিকের উপস্থিতি এবং তার ফলে ক্যানসার, কিডনি সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদযন্ত্রের সমস্যার মতো শারীরিক অসুস্থতা বাড়ছে দিল্লির বাসিন্দাদের মধ্যে।