মালদ্বীপের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করতে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন মালদ্বীপ সফরে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে আনা ওই চুক্তির খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই মালদ্বীপ সফরে যাবেন; সেখানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।’ খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
পাঁচ লাখ জনসংখ্যার দ্বীপ দেশ মালদ্বীপে এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশির বসবাস। তাদের একটি বড় অংশ সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। অন্যদিকে মালদ্বীপের বেশ কিছু শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছেন।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মালদ্বীপের কারাগারে ৪৩ জন সাজাপ্রাপ্ত এবং ৪০ জন বিচারাধীন বাংলাদেশি বন্দি থাকলেও বাংলাদেশের কারাগারে মালদ্বীপের কেউ বন্দি নেই। তিনি বলেন, ’বন্দি বিনিময় চুক্তি হলে মালদ্বীপে কোনো বাংলাদেশি বন্দি থাকলে তারা অনুরোধ করতে পারবে যে, তোমার বন্দি তুমি নিয়ে যাও। আবার বাংলাদেশও বলতে পারবে যে আমার বন্দি আমাকে দিয়ে দাও। আবার বন্দি নিজেও আবেদন করতে পারবে যে, আমাকে আমার দেশে পাঠিয়ে দাও।’
আগামী ২২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফর শুরু হওয়ার কথা। এই সফরে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক পাঠানোর বিষয়েও একটি চুক্তি হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপের সাথে আমাদের কোয়ালিফায়েড হেলথ প্রফেশনাল গ্রহণের জন্য একটা চুক্তি বা ডিড অব এগ্রিমেন্ট হবে। এতদিন এটা এমওইউ পর্যায়ে ছিল, তার অধীনে চিকিৎসকরা যেতেন। মালদ্বীপ ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটা বাড়াতে এবং এগ্রিমেন্টের মধ্যে নিয়ে আসতে চাইছে।’