বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৬০ বস্তায় ১৮ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আত্মসাতের ঘটনায় চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার হয়েছে।
শনিবার বেলা একটায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সম্প্রতি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আলী হায়দার চৌধুরী বিপিএম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জের একতা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুস সামাদ স্বপনের (৪৭) অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড থেকে একতা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৬-৮১৯২) ৩৬০ বস্তায় ১৮ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে রংপুর বাফার গুদামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে সেখানে সারের ট্রাক পৌঁছায়নি এবং ট্রাকটির ড্রাইভার ও হেলপারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। পরবর্তীতে ড্রাইভার আল আমিন ওরফে আলাউদ্দিন (৩৫) এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে নানান তালহাবানা করতে থাকে।
অভিযোগে আবদুস আরও জানান, উক্ত সার যথাস্থানে না যাওয়ায় তিনি বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর করতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারেন ট্রাক ভর্তি ইউরিয়া সার বগুড়ায় আছে। বাদী আবদুস সামাদ স্বপনের এমন তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বগুড়া জেলার নন্দীগ্রামের কৈগাড়ী সোনারপাড়া এলাকার মৃত দবির উদ্দিন আনারের ছেলে মো. আবদুল আলীম (৫০), জেলার শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলা এলাকার মৃত আব্দুল প্রাং এর ছেলে মোঃ. আল আমিন ওরফে আলাউদ্দিন (৩৫), ধনুট উপজেলার নিমগাছি উত্তরপাড়া এলাকার মৃত ছোলাইমান আকন্দের ছেলে মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন (৪৮), সরুগ্রাম এলাকার মৃত আজিজার সাকিদারের ছেলে মো. সজল (৩৫) ও চুনিয়াপাড়া উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মন্তাজ মন্ডলের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪২)। এ সময় তাঁদের কাছে থেকে সার চুরিতে ব্যবহৃত ট্রাক জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে জব্দকৃত ট্রাক দ্বারা ভুয়া ড্রাইভার ও কাগজপত্র প্রদান করে মালামাল সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মালামাল নিয়ে আত্মসাৎ করে বিক্রি করে। এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।