বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতা তাকবির হত্যার সঙ্গে জড়িত পারভেজ আল মামুন ওরফে মুক্তাদির (২১) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম। এ সময় তাঁর হেফাজত থেকে ১টি কাটা রাইফেল ও ২টি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মুক্তাদির বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চাকলমা মুন্সিপাড়া গ্রামের ফজলে মাবুদ শাহীনের ছেলে। তিনি বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের ছাত্র। তিনি বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া এলাকায় তাসিন ছাত্রাবাসে বসবাস করতেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল তাসিন ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁর কক্ষের সিলিংয়ের ওপর বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১টি ম্যাগাজিনযুক্ত সচল কাটা রাইফেল, ২টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু ও ২টি এসএস পাইপ উদ্ধার করা হয়।
গত বছরের ১৩ মার্চ রাত ৯টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় সন্ত্রাসীরা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খানকে কুপিয়ে জখম করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ মার্চ তাকবির মারা যান। ওই মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ছাত্রলীগ বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ। তিনি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
পুলিশ তদন্তকালে আব্দুর রউফের সহযোগী আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। আল আমিন আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তাকবির হত্যায় মুক্তাদিরের জড়িত থাকার কথা প্রকাশ করেন। এরপর থেকেই ডিবি পুলিশ মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজতে থাকে।
গ্রেপ্তারের পর মুক্তাদির ডিবি পুলিশকে জানান, তাকবির হত্যার পর থেকে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিলেন। কিছুদিন আগে বগুড়ায় এসে তিনি তাসিন ছাত্রাবাসে ওঠেন। মুক্তাদিরের (২২) বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ছাড়াও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।