বাবর আলী এবার লোৎসে পর্বতচূড়ায় ওড়ালেন লাল-সবুজ পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয়ের পর একই অভিযানে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের চতুর্থ শৃঙ্গ লোৎসে চূড়া স্পর্শ করেছেন চট্টগ্রামের বাবর আলী। এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের দুই দিন পর লোৎসে পর্বতের শীর্ষ (৮৫১৬ মিটার) ছুঁলেন এই বাংলাদেশি। খবর একাত্তর ডটটিভির।

মঙ্গলবার নেপালের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশের সময় ৬.০৫ মিনিটে) বাবর লোৎসে চূড়ায় পৌঁছান। বাবরের এই অর্জনে একই অভিযানে পরপর দুটি আট হাজার মিটার শৃঙ্গ সামিট বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসের নতুন অধ্যায় লেখা হলো।

তাঁর সমন্বয়ক ফরহান জামান জানান, লোৎসে চূড়া স্পর্শ করার পর এখন বাবর পর্বত থেকে নেমে আসা শুরু করেছেন।

১ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে নেপালের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন বাবর আলী। প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে ৪ এপ্রিল কাঠমান্ডু থেকে যান লুকলা বিমানবন্দরে। এরপর যাত্রা শুরু করেন এভারেস্ট বেসক্যাম্পের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছান ১০ এপ্রিল।

উচ্চতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বেসক্যাম্প থেকে একাধিকবার উচ্চতায় ওঠানামা করেছেন বাবর। ২৬ এপ্রিল এভারেস্টের ক্যাম্প-২ পর্যন্ত ঘুরে এসে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর্ব সমাপ্ত করেন। এরপর অনুকূল আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।

১৪ মে মাঝরাতে বেসক্যাম্প থেকে শীর্ষ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন বাবর। ১৫ মে সকালে পৌঁছে যান ক্যাম্প ২-এ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেখানে দুই রাত কাটিয়ে বাবর উঠে যান ক্যাম্প ৩-এ। সেখান থেকে ১৮ মে পৌঁছান ক্যাম্প ৪-এ। ২৬ হাজার ফুট উচ্চতার এই ক্যাম্পের ওপরের অংশকে বলা হয় ‘ডেথ জোন’।

১৮ মে মাঝরাতে আবারও শুরু হয় বাবরের যাত্রা। ১৯ মে ভোরে ২৯ হাজার ৩১ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে ওড়ান বাংলাদেশের পতাকা। এরপর তাঁরা নেমে আসেন ক্যাম্প ৪-এ। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে ২০ মে মধ্যরাতে লোৎসে চূড়ার উদ্দেশে পথ ধরেন। মঙ্গলবার সকালে সফলভাবে সেখানে পৌঁছান।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। এরপর চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশে ঘোরায় মনোযোগ দেন।