জৈনাতি বেগম। বয়স ১০০ ছুঁইছুঁই। কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নে ব্রম্মপুত্র নদের মাঝে চর ভগবতিপুরে জেলা পুলিশের শীতের উষ্ণ কম্বল পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে এ নারী বলেন, ‘হামার নেপও নাই, তোশকও নাই।’
কম্বল পেয়ে জৈনাতির মুখে ফুটে ওঠে স্মিত হাসি।
চর পার্বতীপুরের কৃষক মোহাম্মদ আলীর বয়স প্রায় ৭০ বছর। গত কয়েক দিনের শীতে তিন মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে বসবাস করা এ ব্যক্তি বলেন, ‘এই ঠান্ডার দিনত চরের মদ্দে খুব জার। ঠান্ডাত কাজকামও নাই, কম্বল কিনবারও পাও না। কেউ চরত কম্বল দিবারও আইসে না। এই পরথম মুই কম্বোল পানু।’
খাশেরচরের বিধবা নুরনাহার কম্বল নিতে এসে বলেন, ‘এই ঠান্ডাত ছইল পইল নিয়া কষ্ট করোছি। কম্বল পায়া মুই অনেক খুশি।’
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন চরের ২৫০ পরিবারকে শীতের উষ্ণ কম্বল বিতরণ করেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার, টিআই (প্রশাসন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাইদ, যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারসহ অনেকে।
শীতবস্ত্র বিতরণের সময় পুলিশ সুপার বলেন, ‘জেলা পুলিশ সবসময় কুড়িগ্রামের সম্মানিত নাগরিকদের, বিশেষ করে প্রত্যন্ত চরের পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের শীতের উষ্ণ কম্বল বিতরণ করার মাধ্যমে তাদের শীত কিছুটা নিবারণের আপ্রাণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’