শচীন টেন্ডুলকার। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক বছর আগে গোপন নথি প্রকাশ করে সারা বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল পানামা পেপার্স। এবার একই ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’। বিখ্যাত গোপন আর্থিক লেনদেনের খবর ফাঁস করেছে ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’। তালিকায় ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের নামও এসেছে।

গতকাল রবিবারই (৩ অক্টোবর) ফাঁস হয়েছে কর ফাঁকির তদন্তমূলক রিপোর্ট ‘প্যান্ডোরা পেপারস’। নথিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৩৫ জন বর্তমান ও সাবেক রাজনৈতিক নেতা এবং ৩০০ বেশি প্রভাবশালী সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম রয়েছে।

যদিও শচীনের আইনজীবীর দাবি, শচীনের সব বিদেশি লেনদেন সম্পূর্ণ বৈধ। বিদেশে শচীন যা যা বিনিয়োগ করেছেন, তার পুরো হিসাব কর কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) রবিবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই গোপন তদন্তে যুক্ত ছিলেন বিশ্বের ৬০০ ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক। বিশ্বের মোট ১৪টি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার থেকে ১ কোটি ১৯ লাখ নথি প্রকাশ্যে আনেন এই সাংবাদিকেরা।

‘প্যান্ডোরা পেপার্স’র বরাতে আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে ‘এসএএএস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থার বিওএস ও ডিরেক্টর পদে রয়েছেন শচীন, অঞ্জলিরা। ২০১৬ সাল থেকে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মাস্টার ব্লাস্টার। সংস্থায় ৯টি শেয়ার রয়েছে শচীনের। যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ কোটি রুপি। অঞ্জলির রয়েছে ১৪টি শেয়ার। যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি রুপি। আর আনন্দ মেহতার শেয়ার পাঁচটি। তার শেয়ারের মূল্য প্রায় ৪ কোটি রুপি।

শচীনের আইনজীবী জানিয়েছেন, শচীন টেন্ডুলকারের বিদেশে বিনিয়োগ আছে। কিন্তু কোনো বিনিয়োগই গোপন নয়, টেন্ডুলকারের বিদেশে বিনিয়োগ আছে। তবে সব বিনিয়োগই বৈধ ও আইনসিদ্ধ। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই সেই বিনিয়োগ করা হয়েছে।