
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পুলিশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদকসহ যেকোনো অপরাধ মোকাবেলায় ’জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনার চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে পুলিশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান অনুযায়ী পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
পুলিশপ্রধান বলেন, বর্তমানে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি পেয়েছে, পুলিশকে আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ফলে পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।
তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন কোনো মামলার ’ক্লু’ বের করা ছিল অনেক কঠিন। বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা, প্রশিক্ষণ এবং জনবল বাড়ার কারণে মামলা তদন্তে ব্যাপক সফলতা এসেছে। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আইজিপি বলেন, প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তাঁদের কল্যাণে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে একটি ডেস্ক রয়েছে। এখানে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালু রয়েছে। প্রবাসীরা তাঁদের যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ করলে আমরা সহযোগিতা করে থাকি। এ ছাড়া প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজন জাতীয় জরুরি সেবা ’৯৯৯’ নম্বরে যোগাযোগ করলেও সেবা দেওয়া হয়।
মাদকসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, মাদক একটি সামাজিক সমস্যা। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জেলখানায় বেশিরভাগ আসামিই মাদক মামলার। মাদকের বিস্তার রোধে আমরা গণমাধ্যমসহ সমাজের সবার সহযোগিতা পাচ্ছি।
সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে, এর খোঁজ-খবর রাখতে মা-বাবার প্রতি অনুরোধ করে তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা মাদক সমস্যা সমাধানেও সক্ষম হব।
পরে আইজিপি প্রধান অতিথি হিসেবে সিলেট রেঞ্জ, সিলেট জেলা পুলিশ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সিলেটের সব পুলিশ ইউনিটের সদস্যগণের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণসভায় মিলিত হন।
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ, এপিবিএন অ্যান্ড স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টার, খাগড়াছড়ির ডিআইজি পরিতোষ ঘোষ, ৭ম এপিবিএন সিলেটের সিও মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, আরআরএফ সিলেটের সিও হুমায়ুন কবির, র্যাব-৯ এর সিও উইং কমান্ডার মো. মমিনুল হকসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি সিলেটে ’বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক ’স্মৃতি-৭১’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা এবং শহীদ পুলিশ পরিদর্শক চৌধুরী মোহাম্মদ আবু কয়ছর বিপিএম ভবন উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া পুলিশ লাইনসে কৃষ্ণচূড়া ও সাতকরা গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে আইজিপি সিলেট শহরে কুশিয়ারা কনভেনশন হলে সুধীজনের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় মিলিত হন।