বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান। এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য এবং বিপুলসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের মধ্যে জ্ঞান ও ধর্মীয় চর্চার অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রতিবছরের মতো এবারও আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় সব পুলিশ ইউনিট থেকে পুলিশ সদস্যগণ অংশ নিয়েছেন।
আইজিপি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আজান ও কেরাত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া বিজয়ীদের মেধার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
পুলিশপ্রধান সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে প্রতিযোগিতার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করায় বিচারকগণকে ধন্যবাদ জানান।
প্রতিযোগীদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, যাঁরা এবার বিজয়ী হতে পারেননি, তাঁদেরকে আগামীতে আরও ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।
পরে আইজিপি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন।
প্রতিযোগিতায় আজানে প্রথম হয়েছেন ডিএমপির কনস্টেবল সাগর হোসেন সাব্বির, দ্বিতীয় হয়েছেন ৩ এপিবিএন খুলনার নায়েক আবু মুসা এবং তৃতীয় হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই মো. ওমর ফারুক।
কেরাতে প্রথম হয়েছেন ৩ এপিবিএন খুলনার নায়েক আবু মুসা, দ্বিতীয় হয়েছেন আরআরএফ খুলনার কনস্টেবল মো. ইসমাঈল হোসেন মুন্না এবং তৃতীয় হয়েছেন র্যাব হেডকোয়ার্টার্সের কনস্টেবল বেলাল আহমদ।
‘বৈশ্বিক শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) ঢাকার উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবীর, দ্বিতীয় হয়েছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এসআই শামীম আল মামুন এবং তৃতীয় হয়েছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নায়েক এ কে এম খালিদ সাইফুল্লাহ।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে বাছাই করা পুলিশ সদস্যগণ ঢাকায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারীরা আজান দেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন।