দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশের অভিযানে আন্তজেলা গরুচোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান, একটি প্রাইভেট কার এবং একটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২ জুলাই) পুলিশ জানায়, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, খিলক্ষেত ও ভাটারা থানা এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন খিলক্ষেত থানা এলাকার বেল্লাল হোসেন (৩২), ভাটারা থানা এলাকার মো. দুলাল (৩৬) ও স্বপন আক্তার ওরফে দেলোয়ার (৩২) এবং বাড্ডা থানা এলাকার মো. সোহেল রানা (৩০) ও মো. সবুজ (২২)।
পুলিশ জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন গরুর খামার ও বাড়িঘর থেকে একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র গরু চুরি করে আসছিল। চক্রটি গভীর রাতে গরু চুরি করে কাভার্ড ভ্যানে তুলে পালিয়ে যেত চক্রটি। এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় তিনটি চুরির মামলা করা হয়। পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, একই কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে সবগুলো গরু চুরি করা হয়েছে। কাভার্ড ভ্যানের সূত্র ধরে গত শুক্রবার (১ জুলাই) ভোরে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে বেল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গরুচোর চক্রের সর্দার দুলালকে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দুলালের কাছ থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়। পরে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় চোর চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য স্বপন ওরফে দেলোয়ারকে ভাটারা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, দুলাল এই চক্রের হোতা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাঁর নেতৃত্বে আন্তজেলা গরুচোর চক্র সক্রিয় আছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু চুরি করে ঢাকায় দুলালের কাছে নিয়ে আসেন চোররা। এরপর দুলাল চুরি করা গরুগুলো ঢাকার বিভিন্ন এলাকার কসাইদের কাছে বিক্রি করেন। দুলালকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জানা যায়, ময়মনসিংহ থেকে গরু চুরি করে ঢাকায় নিয়ে আসছেন কয়েকজন চোর।
পুলিশ জানায়, এ তথ্য পেয়ে দুলালকে নিয়ে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া বেগুনবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয় পুলিশ। পরে শনিবার (২ জুলাই) ভোরে সোহেল রানা ও সবুজ নামের দুই পেশাদার চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার ও একটি গরু উদ্ধার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক গরু চুরির মামলা আছে। সংঘবদ্ধ এই আন্তজেলা গরুচোর চক্রটি আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যাপক সক্রিয় হয়ে উঠেছিল।