স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন। মেধা আর নিজের পরিশ্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গাও করে নিয়েছেন রঞ্জন চন্দ্র রায়। কিন্তু স্বপ্ন ধরা দিলেও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছেন না সেখানে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবর বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জার নজরে আসে।
এরপর পুনাক সভানেত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নীলফামারী জেলা পুলিশ রঞ্জন চন্দ্র রায়কে ২০ হাজার টাকা প্রদান করে।
জানা যায়, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ গ্রামে রঞ্জনের বাড়ি। তাঁর বাবা রমেশ চন্দ্র রায় (৫০) দিনমজুরের কাজ করেন। মা নমিতা রানী রায় (৪০) গৃহিণী। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় রঞ্জন। পরিবারের সম্বল বলতে রয়েছে বাড়ির ভিটার ১০ শতক জমি। তাই অভাব-অনটনেই কাটে সংসার। ছোট ভাই চন্দন রায় ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
রঞ্জনের বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পর্যন্ত আসতে পোড়াতে হয়েছে অনেক কাঠখড়। ক্লাসের পড়া ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় এত দূর এসেছেন রঞ্জন। এত কষ্টের মধ্যেও পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ ৪.২৫, জেএসসিতে ৪.৭৫, এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ এবং এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছেন রঞ্জন।
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিট থেকে পরীক্ষা দিয়ে ১৮৮০তম হন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে কলা অনুষদের সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনয়ন দিয়েছে।
রঞ্জন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১৮ হাজার টাকা প্রয়োজন। সে টাকা অনেক চেষ্টা করেও জোগাড় করতে পারছেন না তাঁর বাবা।
রঞ্জনের বাবা রমেশ চন্দ্র রায় জানান, দিনমজুরির ৩০০ টাকার আয়ে চালাতে হয় সংসার। সে কাজও জোটে না প্রতিদিন। কাজের অভাবে অনাহারে কাটাতে হয় পরিবারের।