চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। গতকাল বুধবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে লিওনেল মেসির সাবেক ক্লাব বার্সা।
বার্সার হয়ে দুই গোল করেছেন ব্রাজিল তারকা ফুটবলার রাফিনিয়া। আর বদলি হিসেবে নেমে জয়সূচক গোল করেন আন্দ্রেন ক্রিস্তেনসেনের। অন্যদিকে পিএসজির হয়ে গোল দুটি করেন উসমান দেম্বেলে ও ভিতিনিয়া।
চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে দ্বিতীয় লেগে পিএসজিকে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হবে। নয়তো হতাশায় শেষ হবে তাদের আরেকটি মৌসুম।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে আচমকাই একটি সুযোগ পায় বার্সেলোনা। গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের উঁচু করে বাড়ানো বল পিএসজির ডিফেন্স লাইনের পেছনে খুঁজে পায় রাফিনিয়াকে। বিপদ দেখে ডি-বক্স ছেড়ে অনেক বাইরে বেরিয়ে আসেন পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। মূলত তাঁর চ্যালেঞ্জের মুখেই বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি রাফিনিয়া।
২৪তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিয়ার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান দোন্নারুম্মা। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে ডি-বক্স থেকে রাফিনিয়ার নিখুঁত শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে পায়ের বাইরের অংশ দিয়ে বাঁকানো শটে লেভানদোভস্কিকে খুঁজে নিতে চেয়েছিলেন ইয়ামাল। বেরিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে বল পোলিশ স্ট্রাইকারের নাগালের বাইরে পাঠান দোন্নারুম্মা। সেটা যায় অরক্ষিত রাফিনিয়ার পায়ে। ঠাণ্ডা মাথার শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পিএসজির রক্ষণে বারবার ভীতি ছড়ানো ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চমৎকার এক গোলে দলকে সমতায় ফেরান দেম্বেলে। ৪৮তম মিনিটে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় ঠিকমতো শট নিতে পারেননি আরাউহো। ডি-বক্সে বল পেয়ে যান অরক্ষিত দেম্বেলে। বার্সেলোনার তিন খেলোয়াড় ছুটে গিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। ফরাসি ফরোয়ার্ডের বুলেট গতির শট জড়ায় জালে।
সফরকারীদের স্তব্ধ করে দিয়ে ৫১তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। ফাবিয়ান রুইসের কাছ থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ভিতিনিয়া। ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি টের স্টেগেন।
তিন মিনিট পর ব্যবধান বাড়তে পারত আরও। বাহলি বারকোলার জোরাল শট টের স্টেগেনের গ্লাভস ছুঁয়ে লাগে ক্রসবারে। পিএসজির দারুণ গতির সঙ্গে পেরেই উঠছিল না বার্সেলোনা। কঠিন পরিস্থিতিতে ৬২তম মিনিটে আবারও দলকে অসাধারণ এক ফিনিশিংয়ে পথ দেখান রাফিনিয়া। সবেই মাঠে আসা পেদ্রির বাড়ানো বলে ছুটে গিয়ে দুর্দান্ত এক ভলিতে খুঁজে নেন জাল।
৭৫তম মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বার্সেলোনা। তাদেরই সাবেক খেলোয়াড় দেম্বেলের শট ব্যর্থ হয় পোস্টে লেগে। এরপরই রাফিনিয়া ও ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে তুলে নেন শাভি এর্নান্দেস। বদলি নামা দুই খেলোয়াড়ের একজন ক্রিস্টেনসেন কর্নার থেকে ৭৭তম মিনিটে চমৎকার হেডে খুঁজে নেন জাল। এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
৮৭তম মিনিটে বাঁকানো শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি দেম্বেলে। দূরের পোস্টে লাফিয়েও হেডের চেষ্টায় বলের নাগাল পাননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। বাকি সময়ে গোলের তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। সূত্র : আমাদের সময়